বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ গন্ডামারা ইউনিয়ন উন্নয়ন পরিষদ চট্টগ্রামের সদস্যরা পশ্চিম বাশঁখালী হোক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এ স্লোগানে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) ভালোবাসা দিবসে পশ্চিম বাশঁখালী সমুদ্র সৈকতে আনন্দ ভ্রমন ও মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।
বাহারচরা সমুদ্র সৈকতে এক আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন পশ্চিম বাশঁখালী পুরো এলাকায় সাগর সংলগ্ন উপকূলীয় জনগণের সুরক্ষা প্রদানের লক্ষে বাংলাদেশ বনবিভাগ উপকূলীয় অঞ্চলে জেগে উঠা চরে ১৯৬৬ সাল থেকে ম্যানগ্রোভ বনায়ন শুরু করে।পশ্চিম বাশঁখালীর সাগর ঘেষে নির্মিত সবুজ বেষ্টনী, ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ, ঝাউবাগান ও উপকূলীয় বন পশ্চিম বাশঁখালীতে একটি নতুন দিগন্ত উম্মোচন করেছে।
সুন্দর বনের মতো সারিবদ্ধ গাছের মাঝ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলা যায় অনেকদূর। এখানকার সমুদ্রের ঢেউ কক্সবাজারের চেয়েও বিশাল। ভয়াল ২৯ শে এপ্রিল, ১৯৯১ এর ম্যারি এন, নামের ভয়াবহ প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবের পর এ জনপদ সুদীর্ঘ ৩০ বছর পরে পুনরায় সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে এসেছে।
পশ্চিম বাশঁখালী এখন দ্বিতীয় সমুদ্র সৈকত। প্রতিদিন শতশত পর্যটক এই সৌন্দয্য উপভোগ করতে আসে বহুদূর থেকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই কোন উন্নতমানের দোখানপাঠ সহ গণশৌচাগার, ফলে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় পর্যটকদের। সংগঠনের সভাপতি নুরুল মোহাম্মদ কাদের বলেন সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ উঞ্চলে গড়ে উঠবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সমুদ্র সৈকত।
সংগঠনের সভাপতি নুরুল মুহাম্মদ কাদের এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা হাসান মুরাদ চৌধুরী, এনামুল হক সিকদার, দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইনফোবাংলার সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম, এডভোকেট দিদারে আলম, রেজাউল করিম, মোঃ ফরিদুল ইসলাম,মু.রিদুওয়ানুল হক,জসিম সিকদার,এ কে, এম দিদার, ফখরুদ্দিন, আমির খসরু, নজরুল ইসলাম, এড. আবু বকর, বাহাদুর সিকদার, নাছির উদ্দিন, মোঃ ইছহাক, মোঃ আরমান ও মোঃ আবু ছালেক প্রমুখ ব্যক্তিরা। সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক সিকদারের সঞ্চালনায় উপস্থিত অতিথি সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহাফুজল্লাহ চৌধুরী সহ আরও অনেকেই।