পেকুয়া প্রতিনিধি: পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়নের হাজী বাজারে জরুরী বৈঠক ডেকেছে ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ ১১ জন ব্যবসায়ীকে কান ধরে উঠবসা দেয়া হয়েছে।
ওই কান্ডে দায়ী পেকুয়া থানার বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা এ,এস,আই তৌহিদুল ইসলাম পাটোয়ারীসহ জড়িত পুলিশ জোয়ানদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবীতে ওই বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। বৈঠকে বাজারের ব্যবসায়ী দোকানের মালিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ২২ অক্টোবর বিকেলে হাজীবাজারে জরুরী বৈঠক শেষ হয়েছে।
বৈঠক থেকে ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওই কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ সময় ব্যবসায়ীরা বৈঠক থেকে পরবর্তী করনীয় বিষয় নির্ধারণ করেছেন। সুত্র জানায়, গত ২০ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে হাজী বাজারে ১১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে পুলিশ চরম হেনস্থা করে। ওই দিন হাজী বাজার নুরুন্নবীর চায়ের দোকানে বসে টিভিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ আইপিলের ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন।..
এ সময় হঠাৎ পেকুয়া থানার এ,এস,আই তৌহিদুল ইসলাম পাটোয়ারীসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই দোকানে পৌছেন। এত রাতে কেন দোকানে বসে থাকছেন এমন প্রশ্ন করছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত লোকজন ন¤্র ও ভদ্রভাবে পুলিশ কর্মকর্তাকে খেলা দেখার কথা বলেন। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা দোকানের গ্রীল আটকিয়ে দেয়। সকল দর্শককে রাস্তায় নিয়ে আসে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা নির্দেশ দেন সকলকে কান ধরে উঠাবসার জন্য। দর্শকদের মধ্যে টইটং ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক বাচ্চু মিয়া এর প্রতিবাদ জানান। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন আমি যুবলীগের ইউনিয়ন সেক্রেটারী। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা যুবলীগ নেতা বাচ্চু মিয়াকে বলেছেন যুবলীগ তোমার ফুটকির মধ্যে ডুকিয়ে দেব।
রাজনৈতিক দল নিয়েও ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে বেত হাতে নিয়ে শারীরিক মারধরের চেষ্টা করে। এ সময় তারা বাধ্য হয়ে কান ধরে উঠাবসা দেয়। হাজী বাজার মার্কেটের মালিক শ্রাবণ তালুকদার মানিক জানান, আমরা এ ধরনের আচরণে বিস্মিত হয়েছে। একজন বয়স্ক ব্যক্তি বাচ্চু ভাই। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে কান ধরে উঠাবসার নির্দেশ দেয় কিভাবে। তার পিতার বয়সী সমান।
এখানে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বাচ্চু ভাই ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক নুরুন্নবী ও জাতীয় শ্রমিকলীগ টইটংয়ের সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীনও ছিলেন। নুরুন্নবীর চায়ের দোকানে খেলা দেখা এত বড় অপরাধ কিভাবে হল। আমরা এ ধরনের আচরনের তীব্র নিন্দাসহ বিচার চাইব। বাজার বণিক সমিতির নেতা নবাব মিয়া ও আবদুল খালেক বলেন, এটি পুলিশের নিকৃষ্ট আচরণ। নজরুল মাষ্টার পুলিশ কন্টাক করে এ আচরনটি করিয়েছে। আমরা উর্ধতন মহলে যাব। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে কর্মসূচীর দিকে যাব।
ছাত্রলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি জকরিয়া বলেন, আসলে মানুষের মর্যাদাহানি করার এ অধিকার পুলিশকে কে দিয়েছে। আমরা শীঘ্রই কর্মসূচীর দিকে যাব। দ্রæত এর বিচার করতে হবে। না হয় মানুষের মর্যাদাহরণ হয়ে থাকবে। হেনস্থার শিকার ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারী ও বাজারের দোকান মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, আমি সেক্রেটারী পরিচয় দিয়েছিলাম।
এতে পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষেপে গিয়ে বলেছে যুবলীগ তোমার ফুটকিতে ডুকিয়ে দেব। শ্রমিকলীগ ইউনিয়ন শাখার সাধারন সম্পাদক ও সিএনজি শ্রমিক সংগঠন নেতা জয়নাল আবেদীন জানান, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। নজরুল মাষ্টার সেখানে ছিল। পুলিশের আচরণ দেখে মনে হয়েছে আসলে তারা মাস্তান। মাছ ব্যবসায়ী নুরুন্নবী জানান, আমরা ব্যবসা করি।
রাত দিন বাজারে থাকি। মাত্র রাত ১০ টা হয়েছে। আসলে এটি তদন্ত হতে হবে। কেন আমাদের উপর এ আচরণ। প্রধান শিক্ষক ও হাজী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল মাস্টার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছিল আমাদের উপর। দোকান মালিক শাহাদাত হোছাইন ও সাজ্জাদ হোছাইনসহ আরো অনেকে জানান, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
নজরুল মাষ্টার এ কান্ড পুলিশকে দিয়ে করিয়েছে। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এ,এস,আই তৌহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, আমার বিরুদ্ধে এ সব মিথ্যা। তবে আমি এদেরকে বাড়িতে চলে যেতে বলেছি। এতরাত দোকান কেন খোলা থাকবে। এমন প্রশ্ন করেছিলাম। দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছি।..