অমরত্বের স্বাদ আস্বাদন
এস আই( নিঃ) কামরুল হাছান,
এম, এস, এস ( রাষ্ট্র বিজ্ঞান),
হাতিয়া থানা, নোয়াখালী।
আজ আমি এ সুন্দর ধরনীতে
প্রকৃতভাবে বেঁচে থাকার কথা বলব,
অমরত্বের কথা বলব,
মানবের তরে একটা কিছু করার কথা বলব।
যার ফলে পৃথিবী যতদিন থাকবে,
তোমার নামটিও যেন বেঁচে থাকে,
মানব ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে, হয়ে চির মহীয়ান।
মনে পড়ে? ইসলামের প্রথম খলিফা
হযরত আবু বকর সিদ্দিকের অমরত্বের ইতিহাস,
ইসলামের তরে জিহাদের জন্য-
শেষ সম্বল তার কম্বল খানা দান করে
মন জয় করেছিলেন বিশ্ব বিধাতার।
আজ যখন করোনা নামক
মরন ছোবলের ভয়ে –
খেটে খাওয়া দিনমজুর, গরীব কৃষক, ভ্যান চালক কিংবা রিকশা ওয়ালা-
অসহায় হয়ে অনাহারে- অর্ধাহারে গৃহবন্দী,
আমরাকি পারি না, আমাদের শেষ সম্বলটুকু,
সেইসব অনাহারী – অর্ধাহারী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে, আবারও একটা ইতিহাস গড়তে,
মরতে যখন হবেই- এক সাথে মরি, কিংবা একইসাথে বাঁচি, অমরত্বের স্বাদ আস্বাদন করি।
মনে পড়ে? মানবতার কবি,প্রেমের কবি, বিদ্রোহী কবি
কাজী নজরুলের জীবনী,
যার লেখা বিদ্রোহী কবিতা – রণ সঙ্গীতের দামামা,
কেমন করে প্রেরনা যুগিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে,
দুনিয়ায় যেত মেহনতী, মজদুরী মানুষের পক্ষে।
আমরাকি পারিনা –
আবার একটি কবিতা লিখতে,
যে কবিতা মনোবল যোগাবে
বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাবে- প্রেরনা দিবে,
কিংবা সচেতন করতে –
করোনা যুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার,
পথে দেখাতে- আগামী দিনের
সুখী- সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ার।
মনে পড়ে? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ ই মার্চের কালজ্বয়ী ভাষন,
যে ভাষনের আহ্বানে জাতি হয়েছিল সুসংগঠিত,
করেছিল মুক্তির আন্দোলন,
ছিনিয়ে এনেছিল – লাল সবুজের পতাকা,
স্বাধীনতা নামক অমূল্য সম্পদ।
মনে কি পড়ে- মাওলানা ভাসানী, হোসেন সহিদ সরোয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হোক, কর্নেল ওসমানী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু,
কিংবা শহিদ জিয়ার অপ্রতিরোদ্ধ আন্দোলন,
যে আন্দোলনের জন্যে- পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে,
মুক্তি পেয়েছিল – শোষিত, নির্যাতিত,
বাংলার জনগন।
যারা এ জাতীর ক্লান্তিলগ্নে
নিঃশ্বার্থভাবে আত্নত্যাগ করে, রক্ষা করেছিল এ জাতীকে, দিয়ে গেছে স্বাধীনভাবে থাকার- বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অধিকার,
দিয়েছে লাল সবুজের পতাকার ছায়াতলে
এক হয়ে দাড়াবার,
বিনিময়ে পেয়েছে তারা- পাবেও তারা
অমরত্বের পুরস্কার।
আমরাও কি পারি না- তাদেরই উত্তরসুরি হয়ে,
করোনা নামক ভাইরাসের মরন থাবা থেকে,
জাতিকে রক্ষার স্বার্থে এগিয়ে আসতে,
পারি না-কি দিতে নিজেকে বলিদান,
পারি না-কি এগিয়ে আসতে নিঃশ্বাসার্থভাবে সেবা দিতে, বেঁচে থাকার জন্যে করে দিতে বিকল্প কর্মসংস্থান, কিংবা পরম যত্নে
অনাহারীর মুখে তুলে দিতে- একটুখানি অন্যদান।
আসুন আমরাও এভাবেই
এমন কিছু করি-
যাতে স্থান করে নিতে পারি ইতিহাসের কোনে,
স্থান করে নিতে পারি আগামী প্রজন্মের মনে,
পান করতে পারি অমরত্বের আস্বাদন।